অনুবাদ মিডিয়া : কুরুলুস উসমান ভলিউম ৮৫ বাংলা ডাবিং, সাবটাইটেল
কুরুলুস উসমান এপিসোড ৮৫ বাংলা ডাবিং
কুরুলুস উসমান পর্ব ৮৫ বাংলা সাবটাইটেল
ভলিউম দেখতে পোষ্টের নিচে যান
প্রধান উজির সোকুলুর মূল উদ্দেশ্যে ছিল সুলতানের পুত্র সেলিমকে
নির্বঞ্চাটে সিংহাসনে বসানো। তাই খুব দ্রুত দূত পাঠিয়ে আনাতোলিয়াতে
পিতার মৃত্যু সংবাদ দেয়া হয় তাকে । সেলিম এ সংবাদ গোপন করে রাখে
আরো কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত।
এর মাঝে সরকারি ও রাজকীয় কাজ পূর্বের
মতোই চলতে থাকে; যেন বা সুলতান জীবিত আছেন। বিভিন্ন রাজ্যে
সুলতানের নামে বিজয়ের সংবাদ পাঠিয়ে দেয়া হয়। পদোন্নতি, শূন্য পদে
নিয়োগদান সবই চলতে থাকে পূর্বের মতো। সুলতান সুলেমানের অস্ত্রসহ
বা ভুলিতে বহন করে নিয়ে যাও নিজের গৃহে।
শুধু যখন সোকুলু জানতে পারে যে রাজকুমার সেলিম সিংহাসন উপবেশনের
জন্য ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছেন তখনি সৈন্যদের জানানো হয় যে তাদের সুলতান
মৃত্যুবরণ করেছেন।
বেলগেডের কাছে বনের বাইরে থেমে যায় সৈন্যরা । তারপর কোরআনের
বাণী পড়া হয় মৃতের উদ্দেশ্য । সৈন্যরা নিয়মমতো সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে
শোকের মাতম তুলে । প্রধান উজির এদের মাঝ দিয়ে হেটে গিয়ে মনে করিয়ে
দেয় সুলতানের বীরত্রগাথা। এর পর ইস্তাম্বুলে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পনামতো
সুলেমানিয়ে মসজিদ সমাহিত করা হয় সুলতান সুলেমানকে।
এভাবেই যুদ্ধক্ষেত্রে নিজের তীবুতে নিজের সৈন্যদের মাঝে মৃত্যু ঘটে
অটোমান সাম্রাজ্যের সবচেয়ে সফল সুলতান সুলেমানের। এর ফলে
মুসলিমদের চোখে পবিত্র যোদ্ধার মতো শহীদের শ্রদ্ধা লাভ করেন তিনি।
এটি ছিল একটি যোগ্য সমাপ্তি। পূর্ণ বয়সে, বিজয়ী অভিযানে মৃত্যু ঘটে
সুলতানের, যিনি সারা জীবন মহান একটি সামরিক সাম্রাজ্য শাসন করেছেন।
বিজয়ী ও কর্মতৎপর সুলেমান এ সাম্রাজ্যকে বিস্তৃত করেছেন। নিরাপত্তা
দিয়েছেন। আইন প্রণেতা হিসেবে এ সাম্রাজ্যেকে সম্পূর্ণতা দান করেছেন।
প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি ও নিজের মানবীয় নীতির মাধ্যমে সরকার ব্যবস্থাকে
করেছেন আলোকিত । দেশনায়ক বা রাষ্ট্রনৈতা হিসেবে পেয়েছেন বিশ্ব শক্তিকে
নেতৃত্দানের ক্ষমতা । অটোমান সুলেমানদের মাঝে দশমতম ও মহান সুলতান
হিসেবে সাম্রাজ্যকে শক্তি ও সম্মানের এমন এক চূড়ায় পৌছে দিয়ে গেছেন, যা
অজেয়।
কিন্তু তার সমস্ত অর্জনে যোগ্য উত্তরাধিকারীর অভাবে পরবর্তীতে পানির
নিচে তলিয়ে যায়। ক্রমান্যয়ে ভগ্ন্দশা থেকে পতনের দিকে চলে যায়।
রেনেসীর বরপুত্র হিসেবে, একজন মহান তুর্কি সুলতান সুলেমান এমন মহতী
ও জৌলুসভাবে জীবন-যাপন করতেন, যা সে সময়কার খ্রিস্টান পশ্চিমা
সভ্যতাকেও হার মানিয়েছিল। সুলতান সুলেমানের নিজের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
যেমন ছিল অভূতপূর্ব, তেমনি অন্যদের বিচার করার ক্ষেত্রেও তার নীতিবোধ
ছিল ক্রটিহীন। নিজের রাজকীয় কর্মপদে পছন্দসই প্রার্থীদের নিয়োগ
দিয়েছিলেন তিনি।
তীর প্রধান উজিরদের মাঝে অন্তত দুজন খ্রিস্টান বংশোদ্ভুত, যারা তার
রাজত্বকালের দুই-তৃতীয়াংশ জুড়ে কাজ করেছে, নিজেদের গুণাবলি দ্বারা
অটোমান সাম্রাজ্যকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। ইব্রাহিম
পাশা একজন গ্রিক, কূটনীতিবিদ ও সামরিক নেতা হিসেবে ছিলেন অসাধারণ;
অন্যদিকে রুস্তম পাশা একজন বুলগেরিয়ান, নিজের অর্থনৈতিক জ্ঞানের দক্ষতা
দিয়ে অটোমান খাজানাকে বৃদ্ধি করেছেন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সুলতান সুলেমান নিজেই এমন দুটি ঘটনার পক্ষপাত
করেছেন, যা সাম্রাজ্যের ভাগে দুর্ভাগ্যের কালি লেপন করেছে।
সুলতানের মানবিক দিক হেরে গেছে সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী নির্বাচন
করতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ।