অনুবাদ মিডিয়া – বারবারোসলার ভলিউম ২২ বাংলা ডাবিং, সাবটাইটেল

ভলিউম দেখতে পোষ্টের নিচে যান

অটোমান সাম্রাজ্যের ধ্বংসের ক্ষেত্রে এ সমস্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে থেকে আস্তে
আস্তে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। প্রথমেই ছিল কৃষিজমির
তুলনায় জনসংখ্যা বেড়ে যায়। দ্বিতীয়ত, দাম বেড়ে যায়। সবকিছুর মূল্য বেড়ে
যাওয়ায় অটোমান রৌপ্য মুদ্রার মান কমে মুদ্রান্ষীতি দেখা দেয় ।

অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে অটোমান সরকার ১৫৮৪ সালে এর ফুদ্রার
মানকে ইচ্ছামতো কমিয়ে দেয়। স্বর্ণ মুদ্রার মান পথ্থাশ শতাংশ পর্যন্ত
কমে যায়। রৌপ্য কয়েন গলিয়ে ধাতু মিশিয়ে পাতলা এক ধরনের কয়েন
তৈরি করা হয়, যা ছিল (একজন সমসাময়িক তুর্কি ইতিহাসবিদদের
ভাষায়) “আমন্ড গাছের পাতার মতো হালকা ও শিশিরের বিন্দুর মতোই
মূল্যহীন।* সংকট এতটাই গভীর হয়ে ওঠে যে সেনাবাহিনীর বেতন-ভাতা
প্রদানেও সমস্যা দেখা দেয়। ফল বিদ্রোহ, বিশৃঙ্খলা ঠেকানো দায় হয়ে
পড়ে।

ইতিমধ্যে ষোড়শ শতাব্দীজুড়ে সাম্রাজ্যের জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়।
ইউরোপে সাম্রাজ্যের আর বিস্তৃতি না ঘটায় উদ্ৃত্ত জনসংখ্যার বসতি স্থাপনে
সমস্যা দেখা দেয়। শুধু সাইপ্রাস বিজয়ের পরু এ ধরনের একটি সম্ভাবনা দেখা
দিলেও আর কোনো উৎস দেখা যায়নি।

বিপুল জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে দেখা দেয় বেকার সমস্যা। ফলে গৃহহীন
জমিহীন এসব কৃষকরা দিন দিন ঝুঁকে পড়ে বিভিন্ন অন্যায় কাজে । দেশজুড়ে
দেখা দেয় মূল্যবৃদ্ধি, পণ্যে ভেজাল মেশানো, মুদ্রা জাল করা, ফটকাবাজি, চড়া
সুদের ব্যবসা ও অতিরিক্ত সুদের কারবার |

রাজ খাজানা শূন্য হয়ে পড়ায় বাধ্য হয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর বৃদ্ধির মাধ্যমে
অর্থ সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। আর এর পুরো বোঝা চেপে বসে
কৃষকদের ওপর । নির্দিষ্ট আয়ের লোকদের মাবে যুদ্রান্ীতির প্রভাব প্রকট হয়ে
পড়ে। এর ফলে বিভিন্ন দপ্তরে সামরিক, নাগরিক যাই হোক না কেন, শুরু হয়
ঘুষ লেনদেন। এছাড়া বিভিন্ন বেআইনি পথে কৃষকদের ওপর অত্যাচার ও
পীড়ন শুরু হয়।

অন্যান্যদের মতো বিচার বিভাগের কর্মীরাও হয়ে পড়ে দূনীতিগ্রস্ত।
সুলতানের বিভিন্ন আদেশকে নিজেদের সুবিধামতো ব্যবহার করত বিচারকরা ।
আবার বেশি অর্থের বিনিময়ে চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগ পেত। এ রকম বিভিন্ন
কাজে কৃষকরা বাধ্য হয়ে অনেক সময় প্রায় পঞ্চশ শতাংশ হারে সুদ নিত।
আর এ অর্থ ফেরত দিতে না পেরে দাসে পরিণত হওয়া ছাড়া আর কোনো
উপায় ছিল না তাদের ।

সামন্তবাদী সিপাহিদের স্থান পূরণে সরকার বাধ্য হয় নিয়মিত
বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে । এ কারণে পূর্বের মতো শুধু খ্রিস্টান
বংশোদ্ুতদের দিয়ে জানিসারিস বা সুলতানের নিজস্ব বাহিনী গঠনে
সমস্যা দেখা দেয়। এ কারণে প্রথমবারের মতো মুসলিম প্রজাদের মধ্য
থেকে নিয়োগদান শুরু হয়। এ ধরনের নতুন মিশ্র বাহিনী গঠনে দলগত
সমস্যা দেখা দেয়।

এদিকে আবার জানিসারিসরা ইতিমধ্যে ব্যারাকে সময় না কাটিয়ে
রর কর গোর কারিগর বা করের ফলে
প্রথমবারের মতো ব্যবসায় যুক্ত হয়ে এরা ইস্তাম্বুলের শহুরে শ্রেণীর সাথে
মেশার সুযোগ পায়। আর এভাবে দলীয় শৃঙ্খল ভূলে যুদ্ধের আহহ হারিয়ে
ফেলতে থাকে । এর সাথে আরো যুক্ত হয় সুলেমানের আমল থেকে । তারা
এভাবে উত্তরাধিকারের চিন্তাভাবনায় উদুদ্ধ হয়ে ওঠে । সুলতান চতুর্থ মুরাদের
সময় জানিসারিস ও সুলতানের অন্যান্য গৃহস্থালির কাজে শুধু খ্রিস্টান দাসদের
নিয়োগের প্রথা বাতিল হয়ে যায়।

ষোড়শ শতকের পর থেকে জানিসারিসরা তাদের প্রভু সুলতানের মতোই
দুর্বল হয়ে পড়তে থাকে। ১৫৮৯ সালে সুলতান তৃতীয় মুরাদের সময় ভয়ংকর
সমস্যার উদ্দেগে করে এ বাহিনী । দলে দলে গিয়ে হাজির হয় সেরাগলিও
প্রাসাদে। নিজেদের বেতন-ভাতায় ব্যবহৃত মুদ্রাতে জাল করার জন্য
দিওয়ানের ওপর চড়াও হয় তারা ।

এরপর ১৫৯৩ সালে সুলতানের নিয়মিত প্রহরি অশ্বারোহী বাহিনী বিদ্রোহ
করে। এদের ঠেকাতে গিয়ে জানিসারিসরা আবারো শৃঙ্খলিত হয়। আর
এভাবে দুবাহিনীর মাঝে গড়ে ওঠে শক্রতা। এরকমভাবে সাম ্রাজ্যজুড়ে
জানিসারিস ও সুলতানের বাহিনী দিন দিন বিদ্রোহী হয়ে ওঠে । এমনকি প্রজা
রাজ্য মলদোভিয়াতে জানিসারিসরা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগদানে
বাধ্য করে। গভর্নর হিসেবে এর প্রধানকেও অবশ্য তারাই পরবর্তীতে স্বার্থ
রক্ষা না হওয়ায় ইস্তাম্ুলে হত্যা-করে !

১৫৯৬ সালের পর আনাতোলিয়াতে আরো জটিল এক সমস্যার উদ্ভব
হয়। জেলালিস নামে নতুন বিদ্রোহী দলের উন্মেষ ঘটে। প্রাদেশিক
সেনাবাহিনী হিসেবে স্কোনরা অস্ত্র বহন করত। জেলালিসদের সাথে এদের
সখ্য গড়ে ওঠে। শান্তির সময়ে কোনো কাজ না থাকায় সেকানরা বেতন পেত
না আর এভাবে ডাকাতি ও রাহাজানিতে মত্ত হয়ে ওঠে এরা ।

সেকান, জেলালিস, তুর্কমান কুর্দি, সিপাহি ও সাজাপ্রাপ্ত ইউরোপীয়
পলাতক সৈন্য সবাই একত্রে মিলে বিদ্বোহী হয়ে ওঠে ।

এদের বিরুদ্ধে সরকার দুজন কমান্ডার পাঠালে বরঞ্চ এরাও বিদ্রোহীদের
সাথে মিশে দল গড়ে তোলে ও দুনীতিপরায়ণ হয়ে ওঠে । মধ্য আনাতোলিয়ার
শহরসমূহকে কর প্রদানে বাধ্য করে এরা বিশাল বড় অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতে
থাকে। সরকার পুনরায় এদের দমনে বাহিনী পাঠালে উর্া দুর্গ হতে প্রতিরোধ
করে বিদ্রোহী দল। বিদ্রোহী নেতা কারার মৃত্যু হলে তার ভ্রাতার নেতৃত্বে
আনাতোলিয়া জুড়ে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। এই ডেলি হাসানের অত্যাচারে
আনাতোলীয়ারা ইস্তাম্বুলে, রুমেলি ক্রিমিয়াতে চলে যায়।

এরপর কেন্দ্রীয় গভর্নরের হস্তক্ষেপে ডেলি হাসানকে বসনিয়ার গভর্নর
নিযুক্ত করে এ অবস্থা খানিকটা প্রশমিত হয়। কিন্তু এখানেও সে তার বাহিনী
নিয়ে ইউরোপে সমস্যা করলে অবশেষে ১৬০৩ সালে দানিয়ুবের তীরে
হাঙ্গেরির বাহিনীর কাছে সমাপ্তি ঘটে এ বিদ্রোহী নেতার ।

আনাতোলিয়াতে সমস্যা লেগেই থাকে । কৃষিকাজ না হওয়ায় দুর্ভিক্ষ দেখা
দেয়। কৃষকদের জমি সামরিক নেতারা বেদখল করে নেয়। পশু পালনের জন্য
খামার গড়ে তুললে আনাতোলিয়া জুড়ে কৃষিকাজের ধরন বদলে যায়।
হয় অটোমান সরকারের । এই সুযোগে ১৬০৩ সালে শাহ আব্বাস তাবরিজ
দখল করে নেয় ও অটোমান দুর্গ কার্জ দখল করে নেয়। পাঁচ বছরের মধ্যে
তুর্কি অধিকৃত বিভিন্ন পারস্য ভূমি পুনর্দখল করে ককেশাস অঞ্চলে অটোমান
নিয়ন্ত্রণ ভেঙে দেয় শাহ আব্বাস। ১৬১২ সালে এক শান্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে
তুর্কিরা ১৫৯০ সালে শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পাওয়া বেশ কয়েকটি ভূখণ্ডের
মালিকানা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।

ভলিউম দেখতে পোষ্টের নিচে যান

অটোমান সাম্রাজ্যের ধ্বংসের ক্ষেত্রে এ সমস্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে থেকে আস্তে
আস্তে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। প্রথমেই ছিল কৃষিজমির
তুলনায় জনসংখ্যা বেড়ে যায়। দ্বিতীয়ত, দাম বেড়ে যায়। সবকিছুর মূল্য বেড়ে
যাওয়ায় অটোমান রৌপ্য মুদ্রার মান কমে মুদ্রান্ষীতি দেখা দেয় ।

অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে অটোমান সরকার ১৫৮৪ সালে এর ফুদ্রার
মানকে ইচ্ছামতো কমিয়ে দেয়। স্বর্ণ মুদ্রার মান পথ্থাশ শতাংশ পর্যন্ত
কমে যায়। রৌপ্য কয়েন গলিয়ে ধাতু মিশিয়ে পাতলা এক ধরনের কয়েন
তৈরি করা হয়, যা ছিল (একজন সমসাময়িক তুর্কি ইতিহাসবিদদের
ভাষায়) “আমন্ড গাছের পাতার মতো হালকা ও শিশিরের বিন্দুর মতোই
মূল্যহীন।* সংকট এতটাই গভীর হয়ে ওঠে যে সেনাবাহিনীর বেতন-ভাতা
প্রদানেও সমস্যা দেখা দেয়। ফল বিদ্রোহ, বিশৃঙ্খলা ঠেকানো দায় হয়ে
পড়ে।

ইতিমধ্যে ষোড়শ শতাব্দীজুড়ে সাম্রাজ্যের জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়।
ইউরোপে সাম্রাজ্যের আর বিস্তৃতি না ঘটায় উদ্ৃত্ত জনসংখ্যার বসতি স্থাপনে
সমস্যা দেখা দেয়। শুধু সাইপ্রাস বিজয়ের পরু এ ধরনের একটি সম্ভাবনা দেখা
দিলেও আর কোনো উৎস দেখা যায়নি।

বিপুল জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে দেখা দেয় বেকার সমস্যা। ফলে গৃহহীন
জমিহীন এসব কৃষকরা দিন দিন ঝুঁকে পড়ে বিভিন্ন অন্যায় কাজে । দেশজুড়ে
দেখা দেয় মূল্যবৃদ্ধি, পণ্যে ভেজাল মেশানো, মুদ্রা জাল করা, ফটকাবাজি, চড়া
সুদের ব্যবসা ও অতিরিক্ত সুদের কারবার |

রাজ খাজানা শূন্য হয়ে পড়ায় বাধ্য হয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর বৃদ্ধির মাধ্যমে
অর্থ সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। আর এর পুরো বোঝা চেপে বসে
কৃষকদের ওপর । নির্দিষ্ট আয়ের লোকদের মাবে যুদ্রান্ীতির প্রভাব প্রকট হয়ে
পড়ে। এর ফলে বিভিন্ন দপ্তরে সামরিক, নাগরিক যাই হোক না কেন, শুরু হয়
ঘুষ লেনদেন। এছাড়া বিভিন্ন বেআইনি পথে কৃষকদের ওপর অত্যাচার ও
পীড়ন শুরু হয়।

অন্যান্যদের মতো বিচার বিভাগের কর্মীরাও হয়ে পড়ে দূনীতিগ্রস্ত।
সুলতানের বিভিন্ন আদেশকে নিজেদের সুবিধামতো ব্যবহার করত বিচারকরা ।
আবার বেশি অর্থের বিনিময়ে চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগ পেত। এ রকম বিভিন্ন
কাজে কৃষকরা বাধ্য হয়ে অনেক সময় প্রায় পঞ্চশ শতাংশ হারে সুদ নিত।
আর এ অর্থ ফেরত দিতে না পেরে দাসে পরিণত হওয়া ছাড়া আর কোনো
উপায় ছিল না তাদের ।

সামন্তবাদী সিপাহিদের স্থান পূরণে সরকার বাধ্য হয় নিয়মিত
বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে । এ কারণে পূর্বের মতো শুধু খ্রিস্টান
বংশোদ্ুতদের দিয়ে জানিসারিস বা সুলতানের নিজস্ব বাহিনী গঠনে
সমস্যা দেখা দেয়। এ কারণে প্রথমবারের মতো মুসলিম প্রজাদের মধ্য
থেকে নিয়োগদান শুরু হয়। এ ধরনের নতুন মিশ্র বাহিনী গঠনে দলগত
সমস্যা দেখা দেয়।

এদিকে আবার জানিসারিসরা ইতিমধ্যে ব্যারাকে সময় না কাটিয়ে
রর কর গোর কারিগর বা করের ফলে
প্রথমবারের মতো ব্যবসায় যুক্ত হয়ে এরা ইস্তাম্বুলের শহুরে শ্রেণীর সাথে
মেশার সুযোগ পায়। আর এভাবে দলীয় শৃঙ্খল ভূলে যুদ্ধের আহহ হারিয়ে
ফেলতে থাকে । এর সাথে আরো যুক্ত হয় সুলেমানের আমল থেকে । তারা
এভাবে উত্তরাধিকারের চিন্তাভাবনায় উদুদ্ধ হয়ে ওঠে । সুলতান চতুর্থ মুরাদের
সময় জানিসারিস ও সুলতানের অন্যান্য গৃহস্থালির কাজে শুধু খ্রিস্টান দাসদের
নিয়োগের প্রথা বাতিল হয়ে যায়।

ষোড়শ শতকের পর থেকে জানিসারিসরা তাদের প্রভু সুলতানের মতোই
দুর্বল হয়ে পড়তে থাকে। ১৫৮৯ সালে সুলতান তৃতীয় মুরাদের সময় ভয়ংকর
সমস্যার উদ্দেগে করে এ বাহিনী । দলে দলে গিয়ে হাজির হয় সেরাগলিও
প্রাসাদে। নিজেদের বেতন-ভাতায় ব্যবহৃত মুদ্রাতে জাল করার জন্য
দিওয়ানের ওপর চড়াও হয় তারা ।

এরপর ১৫৯৩ সালে সুলতানের নিয়মিত প্রহরি অশ্বারোহী বাহিনী বিদ্রোহ
করে। এদের ঠেকাতে গিয়ে জানিসারিসরা আবারো শৃঙ্খলিত হয়। আর
এভাবে দুবাহিনীর মাঝে গড়ে ওঠে শক্রতা। এরকমভাবে সাম ্রাজ্যজুড়ে
জানিসারিস ও সুলতানের বাহিনী দিন দিন বিদ্রোহী হয়ে ওঠে । এমনকি প্রজা
রাজ্য মলদোভিয়াতে জানিসারিসরা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগদানে
বাধ্য করে। গভর্নর হিসেবে এর প্রধানকেও অবশ্য তারাই পরবর্তীতে স্বার্থ
রক্ষা না হওয়ায় ইস্তাম্ুলে হত্যা-করে !

১৫৯৬ সালের পর আনাতোলিয়াতে আরো জটিল এক সমস্যার উদ্ভব
হয়। জেলালিস নামে নতুন বিদ্রোহী দলের উন্মেষ ঘটে। প্রাদেশিক
সেনাবাহিনী হিসেবে স্কোনরা অস্ত্র বহন করত। জেলালিসদের সাথে এদের
সখ্য গড়ে ওঠে। শান্তির সময়ে কোনো কাজ না থাকায় সেকানরা বেতন পেত
না আর এভাবে ডাকাতি ও রাহাজানিতে মত্ত হয়ে ওঠে এরা ।

সেকান, জেলালিস, তুর্কমান কুর্দি, সিপাহি ও সাজাপ্রাপ্ত ইউরোপীয়
পলাতক সৈন্য সবাই একত্রে মিলে বিদ্বোহী হয়ে ওঠে ।

এদের বিরুদ্ধে সরকার দুজন কমান্ডার পাঠালে বরঞ্চ এরাও বিদ্রোহীদের
সাথে মিশে দল গড়ে তোলে ও দুনীতিপরায়ণ হয়ে ওঠে । মধ্য আনাতোলিয়ার
শহরসমূহকে কর প্রদানে বাধ্য করে এরা বিশাল বড় অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতে
থাকে। সরকার পুনরায় এদের দমনে বাহিনী পাঠালে উর্া দুর্গ হতে প্রতিরোধ
করে বিদ্রোহী দল। বিদ্রোহী নেতা কারার মৃত্যু হলে তার ভ্রাতার নেতৃত্বে
আনাতোলিয়া জুড়ে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। এই ডেলি হাসানের অত্যাচারে
আনাতোলীয়ারা ইস্তাম্বুলে, রুমেলি ক্রিমিয়াতে চলে যায়।

এরপর কেন্দ্রীয় গভর্নরের হস্তক্ষেপে ডেলি হাসানকে বসনিয়ার গভর্নর
নিযুক্ত করে এ অবস্থা খানিকটা প্রশমিত হয়। কিন্তু এখানেও সে তার বাহিনী
নিয়ে ইউরোপে সমস্যা করলে অবশেষে ১৬০৩ সালে দানিয়ুবের তীরে
হাঙ্গেরির বাহিনীর কাছে সমাপ্তি ঘটে এ বিদ্রোহী নেতার ।

আনাতোলিয়াতে সমস্যা লেগেই থাকে । কৃষিকাজ না হওয়ায় দুর্ভিক্ষ দেখা
দেয়। কৃষকদের জমি সামরিক নেতারা বেদখল করে নেয়। পশু পালনের জন্য
খামার গড়ে তুললে আনাতোলিয়া জুড়ে কৃষিকাজের ধরন বদলে যায়।
হয় অটোমান সরকারের । এই সুযোগে ১৬০৩ সালে শাহ আব্বাস তাবরিজ
দখল করে নেয় ও অটোমান দুর্গ কার্জ দখল করে নেয়। পাঁচ বছরের মধ্যে
তুর্কি অধিকৃত বিভিন্ন পারস্য ভূমি পুনর্দখল করে ককেশাস অঞ্চলে অটোমান
নিয়ন্ত্রণ ভেঙে দেয় শাহ আব্বাস। ১৬১২ সালে এক শান্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে
তুর্কিরা ১৫৯০ সালে শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পাওয়া বেশ কয়েকটি ভূখণ্ডের
মালিকানা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।