চোখের নিচে যে কালো দাগ, একে আন্ডার আই ডার্ক সার্কেল বলি। একে চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় পেরিঅরবিটাল অথবা আনফ্রাঅরবিটাল বা পিগমেন্টেশন বা ডার্কেনিং বলে থাকি। এর সবচেয়ে ভালো বিষয় হলো, এর সঙ্গে কোনো জটিল মেডিকেল অবস্থা জড়িত নেই। এটি সৌন্দর্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত। নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই এটি হয়। এর কারণ কী? একটি হলো জিনগত কারণ। এটা জেনারেশন থেকে জেনারেশন পর্যন্ত যেতে পারে। দ্বিতীয়ত আরেকটি কারণ হলো, ঘুমের অভাব। ঘুম ঠিকমতো না হলে চোখের নিচে কালো দাগ বা কালচে ভাব আসতে পারে। তিন নম্বর হলো, পুষ্টির অভাব। রক্তস্বল্পতা, ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি এগুলো থাকলেও চোখের নিচে কালো দাগ হতে পারে। চার নম্বর হলো, বিশ্রামের অভাব। সেটি চোখের হতে পারে বা শরীরের হতে পারে। ইদানীং জীবনযাপনের ধরনটা এ রকম যে আমাদের চোখের চাপটা অনেক। আমরা ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকি অনেকক্ষণ। অনেক্ষণ এগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের নিচে কালো দাগ হতে পারে। মানসিক চাপ থেকেও চোখের নিচের কালো দাগ হতে পারে।ঘুমের অভাবে বা মানসিক চাপের কারণে রক্তের সঞ্চালন কমে যায়। তখন চোখের নিচে কালো দাগটা আসে। এরপর হলো অ্যালার্জি। অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হোক, এরপর এটোপিক ডার্মাটাইটিস, একজিমা—কমন ডার্মাটাইটিস যাদের থাকে, তাদের এ সমস্যা হতে পারে। তাদের যেটি হয়, চোখের নিচে চুলকায়। নিয়মিত চোখ চুলকাচ্ছে, ঘষাঘষি করছে, এ কারণে সমস্যা হচ্ছে। একে আমরা সেকেন্ডারি পিআই বলে থাকি। পোস্ট ইনফ্লেমেটরি হাইপার পিগমেন্টেশন।
আরেকটি হলো, অ্যানাটমিক্যাল ডিফেক্ট। আমাদের চোখের নিচে একটি গর্ত আছে। একে আমরা টিয়ার ট্রাফ্ট বলে থাকি। কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায়, এ গর্তটা অনেক গভীর। গভীরতার কারণে ছায়া পড়ে। এটা দাগ নয়, তবে কালচে ভাবটা আসে।
আরেকটি হলো, চর্বি। বয়সের সঙ্গে আমাদের শরীরে যে চর্বিটা থাকে সেটি। আবার দেখা যায়, চর্বি সরে যাচ্ছে। এটি সরে গেলেও একই ধরনের গর্তের প্রভাব পড়ছে। আরেকটি হলো, স্কিন ল্যাগজেটি। বলিরেখা পড়ছে। ত্বক ঝুলে যাচ্ছে। আরেকটি হলো, চোখের নিচে পেশি আছে, একে আমরা অরবিটরি মাসেল বলি। চোখের নিচে যে ত্বক এটি পাতলা হয়। কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এটি আরো বেশি পাতলা হয় এবং ট্রান্সলুসেন্ট হয়। এগুলো হলো কারণ।