বারবারোসলার(বারবারোসা)পর্ব ১ বাংলা সাবটাইটেল – Barbaroslar Bangla Subtitles

দ্যা আটোম্যান সেঞ্চুরিস পর্ব ১

লর্ড কিনরস ও অটোমান সেঞ্চুরিস

বৃটিশ স্কটল্যান্ডের এক বনেদী পরিবারে জন্গ্রহণকারী জন প্যাট্রিক্স ডগলাস
বালফোর ( John Patrisk Dauglos Balfour) পারিবারিক উপাধির কারণে
পরিচিত তৃতীয় ব্যারন কিনরস (3rd Baron Kinros) নামে । স্কটিশ
রাজনীতিবিদ ও আইনবিশারদ এবং লর্ড অব দি কোর্ট অব দি সেশন (Lord of the cour of the session) জন বালফোরের (John Balfour) পৌত্র তৃতীয়
ব্যারন ছিলেন একজন সুলেখক, সাংবাদিক ও কুটনীতিবিদ। লেখক হিসাবে
তিনি লর্ড কিনরস Lord Kinross) নামেই সমাধিক পরিচিত ।

২৫ জুন ১৯০৪ সালে স্ষটল্যান্ডে জন্গহণ করেন প্যাট্রিক বালফোর।
পড়াশোন করেন ইংল্যান্ডের বিখ্যাত উইনচেস্টার কলেজে–পরবর্তীতে
অক্সফোর্ডের বালিয়ল কলেজে । উচ্চশিক্ষিত বালফোর প্রথম জীবনে মৌলিক
লেখালেখির কারণে বিখ্যাত হওয়ার পরও–পরবর্তীতে তিনি এতিহাসিক
পটভূমির উপর লেখালেখি শুরু করেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সদয় বৃটিশ
এয়ারফোর্সের কর্মকর্তা প্যাট্রিক বালফোর যুদ্ধপরবর্তীকালীন সময়ে বৃটিশ
দূতাবাসের প্রথম সেক্রেটারীর পদে চাকরী নিয়ে কায়রো চলে আসেন।
সাংবাদিক হিসাবে তুরস্ক ও অটোমান সাম্রাজ্য সম্পর্কে বিশদ ধারণা থাকলেও
এখানেই তিনি অটোমান তথা তুর্কি সংস্কৃতির উপর তিনি বাস্তব জ্ঞান লাভ
করেন এবং পরবতীতে অটোমান ও ইসলামিক সংস্কৃতি নিয়ে প্রচুর লেখালেখি
করেন। ১৯৬৫ সালে রচিত তৃর্কি বীর কামাল পাশার জীবনী
তাকে আরো
বিখ্যাত করে তুলে এবং একজন অটোমান বিশেষজ্ঞ হিসাবে নিজের আসন
স্থায়ী করে নেন।

১৯৩৮ সালে কিনরস, এঞ্জেলা মেরী কুলমে সেইমুর
-কে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ঝালফোর কায়রোতে
অবস্থানকালে তার স্ত্রী এগ্ডেলা-সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মেজর রবার্ট হিউইউটের
সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেন ও তাদের দুটি পুত্র সন্তানও জন্ম দেন। অবশেষে ১৯৪২
সালে প্যান্ট্রিক বালফোর ও এঞ্জেলা ভির্ভোসের মাধ্যমে দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি
টানেন। এই বিয়ে ভাঙ্গার আবেকটি বড় কারণ বালফোর নিজে, কারণ তিনি ছিলেন

সমকামী । প্যাট্রিক বালফোর ও এপ্রেলার কোন সন্তান ছিল না। ১৯৪৯ সালে তার
প্রথম গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এঞ্জেলা কুলমে সেইমুরের
জীবনের নানা ঘটনাবলি নিয়েই এই গ্রন্থটি রচিত।

১৯৭৭ সালে প্রকাশিত হয় তার বিখ্যাত গ্রস্থ
| এই বিখ্যাত গ্রন্থটিতে তিনি ১৩০০
সালের দিকে প্রথম ওসমান প্রতিষ্ঠিত অটোমান সায্রাজ্যের শুরু হতে ১৬
শতকের সুলেইমান দি গ্রেট এর সেনাবাহিনীর অপ্রতিরোধ্য বিজয় যাত্রাসহ
তুর্কি বীর কামাল পাশা কতৃক সুলতান চতুর্থ মাহমুদকে নির্বাসনে প্রেরণ করা
পর্যস্ত–অত্যন্ত সুনিপুনভাবে বর্ণনা করেছেন। একই সাথে অটোমান নিষ্ঠুর
সুলতানদের কার্যকলাপের পাশাপাশি-_সেখানকার সুদৃঢ় অর্থনীতি-রাজনীতি_
সামাজিক বিষয়গুলোও তার বর্ণনাতে বাদ যায় নি।

এই বইটিতে কিনরস একটি বিষয় খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন-_তা
হল অটোমান সাম্রাজ্য পশ্চিমা ইউরোপ ও আমেরিকান প্রভাব এবং পশ্চিমা
সংস্কৃতি কিভাবে তুী সংস্কৃতিতে স্থায়ী আসন গেড়ে নেয় তার বাস্তব বর্ণনা।
অটোমান সাম্রাজ্যে খ্রিস্টানদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার বিষয়টিকে অধিকাংশ
পশ্চিমা লেখকগণই বাকা চোখে দেখেছেন এবং তাদের অনেকেই তা খানিকটা
নিজের মতো করে বর্ণনা করেছেন।

কিন্তু কিনরস এ পথে যান নি, তিনি
সত্যটাই অকপটে স্বীকার করেছেন যে বলকান অঞ্চলের খ্রিস্টানরা স্বেচ্ছায়
ইসলাম ধর্ম খ্ুহণ করেছে এবং এর বড় কারণ ছিল তৎকালীন সময়ে এ সকল
অঞ্চলের দুর্নীতিপরায়ণ খ্রিস্ট ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের ধর্মের নামে
ভন্ডামি ও অনাচার ।

তিনি আরো বর্ণনা করেছেন_-সে সময় ইউরোপে খ্রিস্টান
ধর্ম একটি সাংস্কৃতিক বলয়ের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে যায় এবং যার সাথে ঈশ্বর ও
যিশুধ্বিস্টের ছিল অনেক ফারাক । অটোমান শাসনামলে খ্রিস্টানদের জন্য এটি
একটি সজাগ হওয়ার জন্য এলার্মের মতো ছিল–তা সত্য হলেও খ্রিস্টান
নেতারা মোটেও সজাগ হন নি।

কিনরস শুরু করেছেন অটোমান সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপনকারী ওসমানের
পিতা আর্তঘরুল বে থেকে, আর তারপর পাঠকদেরকে নিয়ে গিয়েছেন ৩৫জন
অটোমান সুলতানের বিশেষ বিশেষ ঘটনাগুলির দিকে । তবে এ গ্রন্থে তিনি
আর্তঘরুল ও ওসমান সম্পর্কে খুব একটা বর্ণনা করেন নি, তার বর্ণনায় প্রাধান্য
পেয়েছে অটোমান সুলতান, যারা ১২৮৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯১৪ সালে প্রথম
বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত দাপটের সাথে পৃথিবীর তিন মহাদেশ বিস্তুত__অটোমান
সাম্াজ্যকে শাসন করেছেন ।

অটোমান শাসনামলের প্রথম ১০ সুলতান প্রায় ৩০০ বৎসর শাসনকার্য
পরিচালনা করেন এবং রাজ্যের পর রাজ্য জয় করে নিজেদের ছোট রাজ্যটিকে

সাগ্রাজ্যে পরিণত করেন এবং এ বিস্মৃতি ও শৌর্য বীর্যের চূড়ান্তে পৌছে সুলতান
প্রথম সুলেমান বা সুলেইমান দি ম্যাগনিফিসিয়েন্ট এর আমলে।

১৫৬৬ সালে এসে ওসমানীয় রক্তের শান একটু একটু করে কমতে
কে । সুলেইমান পুত্র সুলতান সেলিমের আমলে (১৫৬৬-১৫৬৭) সাম্রাজ্যের
খর গতিতে পতন শুরু হয়, তার অন্যতম বড় কারণ ছিল সেলিম-যিনি মদ্যপ
সেলিম নামে পরিচিত ছিলেন। এই গ্রন্থে তিনি ভাই হত্যার প্রচলিত নিয়মের
শমরুণ চিত্র তুলে ধরেন। নতুন সুলতান সিংহাসনে আরোহণ করেই তার আপন
ভাইদের হত্যা করতেন-যাতে করে তার সিংহাসন প্রতিদ্বন্দী বিহীন ও
সুরক্ষিত থাকে |

যদিও ভাই হত্যার এ প্রথা প্রচলন করেন সুলতান প্রথম
শায়েজীদ (১৩৮৮)–কিন্তু এটিকে স্বীকৃত প্রথা হিসাবে প্রচলন করেন সুলতান
িজয়ী বীর দ্বিতীয় মাহমুদ । দ্বিতীয় মাহঘুদ কনস্টান্টিনোপোল (ইস্তাম্বুল) বিজয়
খরার জন্য বিজয়ী বীর খ্যাতি অর্জন করেন। এ বীর যোদ্ধা ইস্তাস্ুলসহ
গাজ্যের পর রাজ্য জয় করলেও সিংহাসনকে সুরক্ষিত রাখার বিকল্প উপায়
খের করতে না পেরে ভাই হত্যার বিষয়টিকে ডিক্রি জারী করে স্বীকৃতি দেন।

 

আনুবাদ মিডিয়া লিংক