মোনালিসার পেইন্টিং এতো বিখ্যাত কেন?

মোনালিসা পেইন্টিং কেন এতো বিখ্যাত নামের এই বিখ্যাত চিত্রকর্মটি “লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি” ১৬ শতকে অঙ্কন করেন। তিনি ছবিটিকে আঁকতে তিন বছর সময় নিয়েছিলেন (১৫০৩-১৫০৬)। মজার ব্যাপার এই যে ভিঞ্চি ছবিটিকে একেছিলেন একটা কাঠের তক্তার উপর।

এবার আসা যাক কেন ছবিটা নিয়ে লোকেদের এত হৈ চৈ-

মোনালিসা পেইন্টিং কেন এতো বিখ্যাত

★ছবিটার দিকে কিছুটা দূর থেকে লক্ষ করুন। কী মনে হচ্ছে? মোনালিসা হাসছে। এবারে কাছ থেকে ছবিটাকে লক্ষ করলে দেখা যাবে হাসিটা কোথায় যেন বিলীন হয়ে গেল। এই রহস্যময়ী মুচকি হাসির জন্য ছবিটি বিখ্যাত।

★এছাড়াও ছবিটাকে যেকোনো এঙ্গেল থেকেই দেখা হোক না কেন মনে হবে যেন মোনালিসা আপনার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

★বিজ্ঞানীরা যখন আলট্রা লাইটে ছবিটাকে পর্যবেক্ষণ করছিলেন তখন দেখা যায় মোনালিসার ডান হাতের পাশে কিছু অক্ষর রয়েছে। অক্ষরগুলো সাজানো হলে তা দাড়ায়-

La Risposta Si Trova Qui.❞

এটা একটি ইতালিয়ান বাক্য যার অর্থ –

❝উত্তরটা তো এখানেই দেয়া আছে। ❞

★এছাড়াও প্যারানর্মাল ওয়েবসাইট কুশওয়েব দাবি করেছিল এই ছবিটার মধ্যে একটা এলিয়েন লুকিয়ে আছে। এই ছবিটা বামদিক থেকে একটা আয়নার সামনে তুলে ধরলে একটা এলিয়েনের ছবি ভেসে উঠবে। এটা সত্যি কীনা জানি না তবে প্লে-স্টোরে বিভিন্ন মিরোর অ্যাপ আছে সেগুলোর সাহায্যে নাকি আমার গুটিকয়েক বন্ধু এটা করে দেখেছে এবং নিচের ছবির মতো এলিয়েন দেখেছে।

মোনালিসা পেইন্টিং কেন এতো বিখ্যাত

ভিঞ্চি তার এই ছবিটা তৈরিতে যে রং ব্যবহার করেছেন তার স্তর ছিল ৪০ মাইক্রো মিটার অর্থাৎ এটা আমাদের চুলের চেয়েও পাতলা।

ছবিটাতে তিনটি আলাদা-আলাদা স্তর রয়েছে। যার দরুণ বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে বিভিন্নরকম দেখা যায়।

লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি তার মোনালিসা চিত্রকর্মটি সবসময় তার কাছেই রাখতেন। কখনো হাতছাড়া করতেন না তিনি বলেছিলেন,

❝এই চিত্রটিই আমার জীবনের সবচাইতে সফল কর্ম❞

বর্তমানে ফ্রান্সের ল্যুভর মিউজিয়ামের একটি কক্ষে মোনালিসা চিত্রকর্মটি সংরক্ষিত আছে। ছবিটির সামনে একটি বুলেট প্রুফ গ্লাস রাখা হয়েছে যেন কেউ কোনোরূপ ক্ষতি করতে না পারে এই ছবিটাকে।