🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
৩য় বার ব্লাড দিয়েছিলাম সিজার রোগীকে।তার ছেলে বাচ্চা হয়েছিলো।
আমি বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম ১১ টার সময়,হাসপাতালে ১টার সময় গিয়েছি।
ব্লাড নিয়েছে ২টার সময়,
দুপুরে না খেয়ে ব্লাড দিলাম।
ব্লাড নিয়ে রোগীর লোক হাতে ১০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলে ভাই ভালো থাকবেন।
ঐ ২ ঘন্টার রাস্তায় রুগির লোক কম করে হলেও ৫০ বার ফোন দিয়েছে,
ভাই কোথায় আছেন, একটু তাড়াতাড়ি আসেন।
যেখানে আমার ১৮০ টাকা গাড়ি ভাড়া গিয়েছিল।
পরে রাতে জানতে পারলাম,
তার পরিবারে প্রথম ছেলে বাচ্চা তাই এলাকায় ৪০ কেজি মিষ্টি বিতরণ করেছে।
ঐরাত থেকে আমার জ্বর শুরু, ৭দিন জ্বর ছিলো, ৩দিন ডিউটিতে যেতে পারি নাই, ৩ দিনে আমার ১৫০০ টাকা বেতন কেটে রেখেছিল কম্পানি।
এখন কথা হলো
রোগীর পরিবার এলাকায় ৪০ কেজি মিষ্টি বিতরণ করলো
আমার কি একটা মিষ্টি পাওয়ার অধিকার ছিলো না?
আচ্ছা মিষ্টি না খেলাম,
গাড়ি ভাড়া তো ঠিক মতো দিতে পারতো?
আচ্ছা গাড়ি ভাড়াও না হয় বাদ দিলাম,,
ব্লাড নেওয়ার আগে তো ৫০ বার ফোন করেছে,
ব্লাড নেওয়ার পড়ে বাড়িতে ঠিক মতো আসলাম কি না ১মিনিট ফোন করে তো খবর নিতে পারতো তাই না???
৪০ কেজি মিষ্টি বিতরণ করার মতো মানুষ পেলো
ঐ ৪০ কেজি মিষ্টি খাওয়া লোকদের মাঝে কি একজন ব্লাড দেওয়ার মানুষ পেল না???
— রোগীর লোক দের উদ্দেশ্যে বলি -ব্লাড দেওয়ার পড়ে রক্তদাতাদের মূল্যহীন বানাবেন না, যথাসাধ্য মতো রক্তদাতাদের পজেটিভ রাখার চেস্টা করুন❣️
#লেখাটি_একজন_রক্তদাতার ।